হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। যে কৃষক তাঁর ঘামে ভেজা শ্রমে পরম মমতায় ফসল উৎপাদন করেন, তিনিই আবার সেটা নিজে বহন করে নিয়ে আসেন এই বাজারে। ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের জাতীয় সংসদের বিপরীতে সেচ ভবনের পরই এই বাজারের অবস্থান। ৩৪টি দোকান নিয়ে এই বাজার। মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, নরসিংদী, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ ঢাকার নিকটবর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে এই বাজারে আসেন কৃষকেরা। এমনকি খাগড়াছড়ির পাহাড়ি অঞ্চল থেকেও আসে পণ্য।
তিন সপ্তাহ ধরে সিরাজগঞ্জ থেকে এই বাজারে পণ্য নিয়ে আসছেন খোকন তালুকদার। তিনি জানান, আশার এক কর্মকর্তার কাছ থেকে এই বাজারের খোঁজ পান। নিজের ও প্রতিবেশীর ফলানো টাটকা শাকসবজি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে পা বাড়ান। লাউ, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, উচ্ছে, করলা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, ঝিঙে, কাঁচা মরিচসহ অনেক সবজিই নিয়ে আসেন। তিনি বললেন, শুক্রবার সকালেই মূলত বিক্রি হয় বেশি। সকাল ১০টার মধ্যেই ১০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি শেষ। দুপুর গড়াতেই বাকি সব বিক্রি করে আবার সিরাজগঞ্জের পথ ধরবেন। হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে এসেছেন বদু মিয়া। কৃষিতে সাফল্যের জন্য নানা সময়ে নানা পুরস্কার জিতে নেওয়া এই কৃষক নিয়মিত নিয়ে আসেন লাল-হলুদসহ কয়েক রকমের তরমুজ, ভিনদেশি বাঙ্গি সাম্মাম, বোম্বাই লিচুসহ মৌসুমি শাকসবজি।